বসন্ত নিয়ে রোমান্টিক কবিতা [বসন্তের বিখ্যাত প্রেমের কবিতা]
বসন্ত নিয়ে রোমান্টিক কবিতা (ফাল্গুনে বসন্তের বিখ্যাত প্রেমের কবিতা)

বসন্ত নিয়ে রোমান্টিক কবিতা, বসন্তের বিখ্যাত প্রেমের কবিতা। দেখতে দেখতে শীত ঋতু আমাদের মধ্য থেকে বিদায় নিয়ে এসেছে বসন্ত ঋতু। শীতের উষ্ণ প্রকৃতি জরাজীর্ণ গাছের পাতা ঝরা মুহূর্ত বিদায় জানিয়ে উপস্থিত হল বসন্ত তথা ঋতুরাজ বসন্তকাল। যে বসন্তে প্রতিটি গাছে জন্ম নিয়েছে নতুন পাতা দেখা দিয়েছে মুকুল আসবে ফল। চারিদিকে ডাকছে কোকিল এ যেন এক প্রকৃতির মোহনীয় পরিবেশ কারণ বসন্ত এসে গেছে। আর এতে করেই বাঙালিয়ানার ১৬ কলা পূর্ণ হয়েছে ঋতুর দিক থেকে। কারণ ঋতুরাজ বসন্ত ষষ্ঠ ঋতুর দেশ বাংলাদেশের সর্বশেষতম ঋতু। যে ঋতুর আগমনের অপেক্ষায় থাকে প্রতিটি বাঙালি হৃদয়। তাই বসন্তকালে বসন্ত উৎসবে যোগ দেয় সকলেই।
যে বসন্ততে যোগ হয়ে আমরা আপনাদের জন্য হাজির হয়েছি বসন্ত নিয়ে কবিতার এপর্বে। যেখানে আপনারা এক এক করে পাবেন বসন্ত নিয়ে কবিতা, বসন্ত নিয়ে রোমান্টিক প্রেমের কবিতা, বসন্তের বিখ্যাত প্রেমের কবিতা, পহেলা ফাল্গুনের কবিতা, বসন্তে ভালোবাসার কবিতা। এছাড়াও বসন্তে ছোট, বড় কবিগুরু রবি ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে আরো অনেক কবিতা। সাথে থাকবে বসন্ত নয় অবহেলা কবিতা ও তার লিরিক্স। যা আপনাদের বসন্ত উৎসব বরণের পুরো আমেজের অনুভূতি দিবে।
Table of content...
বসন্ত নিয়ে রোমান্টিক কবিতা
বইতে শুরু করেছে বসন্তের হাওয়া যে হাওয়াতে রয়েছে এক ধরনের ফুলের সুগন্ধ। কারণ বসন্তের ছোঁয়ায় এখন সকল গাছে এসেছে নতুন পত্রপল্লব ও ফুল। যে ফুলের গন্ধ দোলা দিচ্ছে মনে প্রানে তাই এখন মন চাচ্ছে প্রকৃতির প্রেমে হারিয়ে যেতে। তাই এই অংশে আপনাদের জন্য রইল বসন্ত নিয়ে রোমান্টিক কবিতা। যে কবিতাগুলো শেয়ার করতে পারেন আপনার প্রিয়জনের সাথে বসন্তের প্রথম প্রহরে।
বুকে নিয়ে শিমুল , পলাশ আর কৃষ্নো চূড়া
বুকে এতো রক্তিম লাল ছিল বলেই বুঝি-
একুশ স্বাধিনতা বসন্তের অর্জন !!
আমি ফালগুনের বার্তা বাহক –
কারন জন্ম আমার জারুল ফোটার কালে ,
বসন্তের ঝাঁপি খুলে –
আসুক পুষ্প – প্লাবন,
সবার অন্তরে প্রাণে।
হলদে, বাসন্তী লাল আর কমলা
শাড়ী নিয়ে মাতেয়াড়া, তরুণী-চপলা ।
হাত ভরে চুড়ি বাজে-রুনঝুন, রিনিঝিনি
মাটির গয়না-গাটি , জম্পেশ বিকি-কিনি ।
এক পায়ে মল আর গোল টিপ কপালে
সাজু গজু শুরু হয় সেই ভোর-সকালে ।
পান্জাবী,ফতুয়া-দুটোই যে চলছে
ছেলে গুলো হিমু হবে- সকলেই বলছে ।
সাথের জিন্সটা হলো কালচারে ফিউশন
মন্দ কি ভাবছে যে স্মার্ট জেনারেশন ।
ভাপা পিঠা , মোয়া-নাডু আর পাটিসাপটা
সাথে ফ্রি একদম হইচই, আড্ডা ।
প্রকৃতিতে প্রাণ জাগে, ফুলে ফুলে আগুন
শীত গেল চলে, আজ পহেলা ফাগুন ।
বসন্তের বিখ্যাত প্রেমের কবিতা
ঋতুরাজ বসন্ত যেন আসে চারিদিকে সকলের মনে প্রাণে প্রেমের এক উন্মাদনা নিয়ে কারণ এই ঋতুটা অন্যান্য সকলেই তোর চাইতে আলাদা প্রকৃতি সৌন্দর্যের দিক থেকে। এই বসন্ত ঋতুতেই চারিদিক ছেয়ে যায় লাল ঘন রঙিন ফুলে। এতে করেই তখন আমাদের মন মেতে ওঠে এক ধরনের প্রেমের অনুভূতিতে। এ সময় আমরা বসন্তের বিখ্যাত প্রেমের কবিতা গুলো খুজে থাকি। আমাদের প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে পাঠাতে অথবা তার সামনে উপস্থাপন করতে।
তুমি ভালো থাকো আর না থাকো
ফালগুন আসবেই এ দেশে ।
ফুল যদি ঝরে যায় , নদী যদি মরে যায়
ফালগুন আসবেই এই দেশে ।
আলো যদি নিভে যায় , আধিঁ যদি ছেয়ে যায়
ফালগুন আসবেই এই দেশে।
তুমি যদি না-ও চাও , তিল-তিসি না-ও দাও
ফালগুন আসবেই এই দেশে।
তুমি বেঁচে থাকো আর না থাকো
ফালগুন আসবেই এ দেশে ।
রঙ যদি মুছে যায়, স্বপ্নেরা ঘুচে যায়
ফালগুন আসবেই এ দেশে ।
যদি সুর উবে যায় চাঁদ-তারা ডুবে যায়
ফালগুন আসবেই এ দেশে।
হয়তো সে হাসবে না, আর ভালবাসবে না
হয়তো আসবে কেঁদে কেঁদে সে।
আরও দেখুন ♡ বসন্ত নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, পোস্ট ও কমেন্ট
পহেলা ফাল্গুনের কবিতা
বাংলা মাঘ মাসের শেষে সকলে অপেক্ষার প্রহর গুণে ফাল্গুনের আগমনের জন্য। যার কারণ পহেলা ফাল্গুন থেকেই শুরু হয় ঋতুরাজ বসন্ত। যার কারণেই পয়লা ফাল্গুনের দিন গোনা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়, শুধুমাত্র বসন্ত উৎসবের কথা মাথায় রেখে। তাই অনেকেই রয়েছে যারা পহেলা ফাল্গুনে খুঁজে থাকে ফাল্গুনী কবিতা। যে কবিতার কাব্যে খুঁজে পাওয়া যায় ভালোবাসা ও প্রেমের কথা ছন্দ।
ভালবাসা মাসে
কপোত কপোতী পাখা ঝেড়ে নেয়,
ভালবাসা আসে
তাদের ছোট্ট খোপটার ভিতর,
ভালবাসে শুধুই ভালবাসে।
দিবস জুঁড়ে সাদাবকেরা সঙ্গীর কাছে আসে নীলাকাশে
প্রশস্ত ডানায় সযত্নে রাখে ভালবাসা ,
বলে ওঠে এক সুরে….ভালবাসা
আজ তুমি বসন্ত হও।
ওদের ভালবাসা
ধীরে ধীরে বসন্ত হয়
গায়কপক্ষীও অস্থির
পিয়া কই পিয়া কই বলে,
বসন্ত নিয়ে কবিতা
যদি বলা হয় বাঙালি প্রকৃতিতে সব থেকে সুন্দর দৃশ্য বা মুহূর্ত কখন আসে? তাহলে সেটি এক কথায় উত্তর আসবে বসন্তকালে। এজন্যই বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ বা সকল ঋতুর সেরা। যে বসন্তের হাওয়ায় কোকিলের কন্ঠে মন মাতে এক অন্য ধরনের উন্মাদনায়। যাতে করে ছুটে চলে প্রকৃতির তেপান্তরে তাইতো বসন্ত নিয়ে রচনা হয়েছে এত কবিতা কাব্যের ও ছন্দের। যাতে করে বসন্ত ঋতুর রূপ লাবণ্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
পাখিদের কাছে
ভালবাসার সংজ্ঞা আছে,
কৌতুহলী আমায়
তারা শেখায়…… এভাবে দুহাত মুক্ত করো
নিজেকে মেলে ধরো,
গলা ছেড়ে গাও
উদার হও আকাশের চেয়েও
দেখবে চুপিসারে ভালবাসা আসবে,
আপনা থেকেই হৃদয়ে বাসা বাঁধবে।
বসন্তের ভালোবাসার কবিতা
ভালোবাসা যা এমন একটি পবিত্র শব্দ মানুষের মনে যা সারাক্ষণই দোলা দেয়। তবে সবথেকে বেশি মানুষের মনে ভালোবাসাটা জাগে বসন্তকালে। বসন্তকালে চারিদিকটা থাকে রঙ্গিন ও উজ্জ্বল। এতে করে বসন্তের দিনে মন নতুন করে প্রেমে পড়তে চায়, নতুনভাবে শুরু করতে ইচ্ছা করে প্রকৃতির মত। তাইতো বসন্তের ভালোবাসার কবিতায় প্রিয়জনের কাছে হতে পারে সব থেকে প্রিয়।
গত ঘনমাঘের গা ঝেড়ে এবার আমিও
বলব এসো ভালবাসা তুমি বসন্ত হও।
আমাকে বাসন্তী করো।
ধীরে ধীরে ভালবাসা আসে
কানে কানে বলে,”তুমি আমার ঐশর্য নাও,বক্ষ পেতে দিলাম।
ভালবাসা আমি তোমার আজীবন বসন্ত হলাম।
বসন্তের কবিতা ২০২৩
আপনি কি প্রকৃতিপ্রেমী? তাহলে অবশ্যই আপনি বসন্তের কবিতা খুঁজবেন বা উপস্থাপন করতে চাইবেন। কারণ আপনি যখনই প্রকৃতির প্রেমিক হবেন, তখন আপনি স্বাভাবিকভাবেই ঋতুরাজ বসন্তকে ভালোবেসে থাকবেন। আর এ কারণেই বসন্ত নিয়ে লিখতে চাইবেন কবিতা বসন্ত নিয়ে রচনা করতে চাইবেন কবিতা। তাই এঅংশে রইল বসন্তের কবিতা।
কেউ বলে ফালগুন , কেউ বলে পলাশের মাস,
আমি বলি আমার নতুন প্রভাত ।
কেউ বলে দখিনা , কেউ বলে মাতাল বাতাস
আমি বলি আমার দীর্ঘশ্বাস ।
কেউ বলে নদী কেউ তটিনী কেউ নাম দিয়েছে
নাম তরঙ্গিনী –
আমিতো তারে কোন নামে ডাকিনি – সে যে
আমার চোখের সৌন্দর্য্যদের আবাস ।
জোনাকির নাম নাকি আধাঁর মানিক , আমি তো
দেখি আগুন জ্বলে ধিকি ধিক-
খর বৈশাখে প্রথম যেদিন মেঘের মিচিলে মেঘের মিছিলে ঐ
আকাশ রঙিন…..
তৃষিত রিদয়ে বাজে আনন্দ বীণ্ আমি শুনি
ঝড়ের র্পূবাভাস !!!
আরও দেখুন ♡ বসন্ত নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছন্দ, গান ও কিছু কথা
ফাল্গুনের কবিতা
যদি বলা হয় বাংলা কোন মাসের জন্য সবথেকে বেশি অপেক্ষা করা হয়? তাহলে বরাবরের মতো আসবে ফাল্গুনের কথা। এই ফাল্গুনের প্রথম তারিখেই বা পহেলা ফাল্গুনে আমাদের মাঝে এসে হাজির হয় বসন্তকাল। তাই বসন্তকালের শুরুতে আমরা চেয়ে থাকি বা যার মধ্যে থাকে ফাল্গুনের কবিতা। কেননা ফাল্গুন আর বসন্তের রং একই সুতো গাধা।
তুমি চেয়েছিলে বসন্ত!
আমি বুকের সব পাজর ঝরালাম
নতুন পাতায় পাতায়
বসন্তের গানে গানে
তুমি আসবে বলে।
তুমি চেয়েছিলে বাসন্তী শাড়ী!
শূন্য বুক বিছালাম বন-অরণ্যে
নানা ফুলে ফুলে, বাসন্তী রং’য়ে
তুমি জড়াবে বলে।
তুমি চেয়েছিলে শুনতে-
কোকিলের কুহু-কুহু ডাক!
আমি আগুন ছড়ালাম
পালাশ ও শিমুলের ডালে
কোকিলের কুহু-কুহু ডাকে
তুমি মুগ্ধ হবে বলে।
এই ফাল্গুনে সাঝিয়েছি অঞ্জলি
আমার হৃদয়ের থালা ভরে
দেঁখা হোক, আঁদর হোক
ভালোবাসায়-
দু’টি হৃদয় একটি থালায়
শিমুল ও পলাশের ফুলে ফুলে।
বসন্তের প্রেমের ছোট কবিতা
প্রেম মনে তখনই সব থেকে বেশি দোলা দেয় যখন তা প্রকৃতির রং এর সাথে মিশে যায়। আর প্রকৃতির রঙের সাথে প্রেম তখনই মিশে যখন আমাদের মাঝে বিরাজ করে ঋতুরাজ বসন্তকাল। তাইতো বসন্তে আমাদের মন ছুটে চলে প্রেমের উন্মাদনায় প্রকৃতির তেপান্তরে। তখনই মন চায় বসন্তে প্রেমের ছোট কবিতা পড়তে ও প্রিয় মানুষকে শোনাতে।
বসন্তরূপ
বসন্ত এলো যে ধরায়
উদাসি কোকিলের সুর মন ভরায়,
কৃষ্ণচূড়ায় রাজপথ সাজে
সঙ্গীতের কলতান কানে বাজে।
মদন দেবের আশীর্বাদ
আবির রাঙ্গা চারিপাশ,
বউ কথা কও পাখি ডাকে
ছেলে বুড়ে সব আনন্দে মাতে।
বসন্ত নয় অবহেলা কবিতা
ঋতুরাজ বসন্তের সবথেকে বেশি পঠিত ও জনপ্রিয় কবিতা হচ্ছে বসন্ত নই অবহেলা। যা লিখেছেন বা রচনা করেছেন কবি দর্পণ কবীর। যে কবিতা পাঠক মনে স্থান করে নিয়েছে অনেক ভালোবাসা। কারণ বসন্ত নয় অবহেলা কবিতা শুধুমাত্র বসন্ত নিয়ে একটি কবিতায় নয়। তাতে রয়েছে প্রেম ও ভালোবাসার সংমিশ্রণ, রয়েছে অবহেলা না পাওয়া বেদনার গল্পকথা। তাই শুধুমাত্র বসন্তকালে হলেও আপনার একবার পড়া উচিত ‘বসন্ত নয় অবহেলা’ অসাধারণ এই কবিতাটি।
কবিতা – বসন্ত নয় অবহেলা
কবি- দর্পন কবির
বসন্ত নয়, আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা
ভেবেছিলাম, অনেকগুলো বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা মিশে এলো বুঝি বসন্ত!
দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা
মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো
অনেকটা নির্লজ্জভাবে আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা
আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম
আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কি না
ছিলো না
বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয়
তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো নির্মোহ নিঃসংকোচিত
আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে একবার ভোঁ-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম
তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা
উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায়
কি মিলেছিলো?
ঠোঁট উল্টানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা
তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময়
ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না রাবেন্দ্রিক প্রেম
তোমাদের জয়গানে করতালিতে নতজানু থেকেছিলো আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা
বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন আমাকে ছোঁবে না
জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি
হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা
বা ফুল, পাখি, নদীর কাব্যালাপে কারা মশগুল হলো, এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস আমি দেখাইনি কখনো
এত কিছু নেই জেনেও নজরুলের মতো বিদ্রোহী হবো, সেই অমিত শক্তিও আমার ছিলো না
মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া আসলে আমার কিছুই ছিলো না
শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা
হ্যাঁ, একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে
তাচ্ছিল্য নয়, একটু মায়াই যেন ছিলো
হতে পারে কাঁপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো তোমার দৃষ্টিতে
ওইটুকুই আমার যা পাওয়া
আমি ঝড়ে যাওয়া পাতা, তুমি ছিলে আকস্মিক দমকা হাওয়া
তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে
উপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে
ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি
এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী
অনেক স্বপ্নপ্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম
এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি, উপেক্ষা কাচের দেওয়াল, অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার
এর কিছুই থাকবে না একটি বসন্তের ফুঁৎকারে
একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে হাতের মুঠোয় বসন্ত নিয়ে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো
এমন ভাবাবেগও ছিলো আকাশের কার্নিশে লেপ্টে থাকা পেঁজা মেঘের মতো
ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি
তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল কখনো থামেনি
অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি অনেক কিছু বদলে গেছে
সেকি!
কোথায় হারালো কৈশোরের দিনলিপি বিপন্ন করা অবহেলা
স্বপ্নকে অবদমনের স্বরলিপিতে আটকে ফেলা উপেক্ষা
আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার অবজ্ঞা
ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক, তবে এখনো পোড় খাওয়া দিন বড্ড রঙিন
আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি
কোন ঢেউয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে তোমাদের গোপন অশ্রুকণা
আকাশ পানে তাকিয়ে বুঝতে পারি কার দীর্ঘশ্বাসে ঝড়ে পড়ছে নক্ষত্র
এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালের মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর
এটাও দেখতে পাই অন্তরদৃষ্টি দিয়ে
আমি জানি, দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান যদি পেতো কবিতার রূপ
সেই অবহেলা হতো বসন্ত স্বরুপ
রবি ঠাকুরের বসন্ত কবিতা
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রয়েছে অসংখ্য কবিতা ও কাব্যের সম্ভার। যাতে করে তিনি জয় করে নিয়েছে সকলের মনকে। এমনিভাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রয়েছে বসন্ত নিয়ে অসাধারণ কবিতা। যে কবিতা আজও পাঠক মনে জায়গা লাভ করে রয়েছে সগৌরবে। ইয়াংসি রইল রবি ঠাকুরের বসন্তের কবিতার কিছু অংশ।
‘আহা আজি এই বসন্তে,
এতো ফুল ফোঁটে,
এতো বাঁশি বাজে এতো পাখি গায়।’
কবি কাজী নজরুল ইসলামের বসন্তের কবিতা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও রচনা করেছেন বসন্ত নিয়ে কবিতা। তার বসন্তের কবিতাই ফুটে উঠেছে প্রেম ও ভালোবাসার কথা। যে কবিতায় কবি জানিয়েছে বসন্তে তার মনের উন্মাদনা ও মন মাতানোর কিছু কথা।
‘বসন্ত আজ আসলো ধরায়,
ফুল ফুটেছে বনে বনে,
শীতের হাওয়া পালিয়ে বেড়ায় ফাল্গুনী মোর মন বনে।’