বিশ্ব নারী দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও ভাষণ [নমুনা সহ] pdf
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও ভাষণ [নমুনা সহ] pdf

বিশ্ব নারী দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও ভাষণ [নমুনা সহ] pdf, ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস যা বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে পালন করা হয়। নারীদের অধিকার সম্মত রাখতে এবং নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় এই নারী দিবস। বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস কোন দেশে নারীদের অধিকারকে বড় করে দেখা হয়। আবার কোন দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। বর্তমান সময়ে নারী এবং পুরুষ কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য নেই। এখন নারী এবং পুরুষ একই সাথে মিলেমিশে কাজ করে যেটা আগে ছিল না। এই পোস্টটি আপনাদের সাথে আলোচনা করব বিশ্ব নারী দিবস ২০২৩ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ভাষণ নিয়ে।
Table of content...
বিশ্ব নারী দিবস ২০২৩
আজ ৮ ই মার্চ বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্বের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব নারী দিবস। ১৮৫৭ সালে নারীদের অধিকার সম্মত করতে এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি কারখানায় নারী কর্মীরা রাস্তায় নামে। যার প্রেক্ষাপট অনুসারে প্রতিবছর ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। নারীদের অধিকার ও মর্যাদাকে গুরুত্ব দিয়ে নারীর প্রতি সদাচরণ করতে বলা হয়েছে বা প্রধান প্রতিপাদ্য বিশ্ব নারী দিবসে।
বিশ্ব নারী দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
পুরো বিশ্বব্যাপী আয়োজিত বা অনুষ্ঠিত বিশ্ব বা আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারীকর্মীদের সম্মান জানাতে। আবার এছাড়াও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যথাযথ মর্যাদার মধ্য দিয়ে পালিত হয় বিশ্ব নারী দিবস। এ বিশ্ব নারী দিবস কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সভাপতি, প্রধান অতিথি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গগণ বিশ্ব নারী দিবস নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করে থাকে। তবে অনেকেই জানে না বিশ্ব নারী দিবসের বক্তব্য কিভাবে তুলে ধরবে। তাই অংশে নমুনা সহ আন্তর্জাতিক তথা বিশ্ব নারী দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরা হলো।
সম্মানিত সভাপতি, প্রধান অতিথি, মঞ্চে উপবিষ্ট বিজ্ঞ আলোচকবৃন্দ এবং উপস্থিত সুধীমণ্ডলী— আপনাদের প্রতি রইল আমর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
নারী আর পুরুষের সহাবস্থানের মধ্যেই গড়ে উঠেছে পৃথিবী। সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় একে অপরের সহযোগী ও সহযোদ্ধা তবে কিছু হীন মানসিকতার মানুষ নারীকে পর্দার দোহাই দিয়ে শিক্ষা-দীক্ষা-সংস্কৃতি চর্চা প্রভৃতি কর্ম থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে উন্নয়নে বড়ো ধরনের অন্তরায় সৃষ্টি হয়েছে। অথচ নারীর অংশগ্রহণ ব্যতীত উন্নয়নের চাকা বন্ধ হতে
বাধ্য।
প্রিয় সুধী
আজকের আলোচ্য বিষয়টি নানা কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের মতো একটি দেশে এর তাৎপর্য ব্যাপক । এখানে অদ্যাবধি নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা যারা নারী অধিকারের কথা বলি, তারাও কি নারী অধিকারে বিশ্বাসী? নানাবিধ প্রশ্ন এখানে আসা স্বাভাবিক। আমি অবশ্য কোনো মহলকে দোষারোপ করব না। আমরা উদাহরণ দেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী, স্পিকার নারী, মন্ত্রী নারী, বিচারপতি নারী ইত্যাদি। কিন্তু এ উদাহরণই শেষ কথা নয়; বরং অসংখ্য নারী আজও খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
সম্মানিত সুধী
নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তায় চোখের সামনে ভেসে ওঠে কিশোরী সান্ত্বনার কথা; মাত্র বারো বছর পেরোতেই যাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়- তার শিক্ষা-স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা আমরা জাতি হিসেবে কীভাবে দিতে পারলাম? শুধু সান্ত্বনা একাই নয়, এরূপ হাজার হাজার সান্ত্বনা আজ বাল্যবিবাহের শিকার।
সম্মানিত সুধীমণ্ডলী
আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অসংখ্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা সভা-সমাবেশ, সেমিনার করেই যাচ্ছি। কিন্তু নারীশিক্ষার প্রসারতায় কতটুকু সফল হওয়া গেল, তার কোনো পরিসংখ্যান আজও আমাদের হাতে আসেনি। আমাদের সরকার বৃত্তি-উপবৃত্তিসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছে নারীশিক্ষা বিকাশে। কিন্তু এর বাস্তব প্রতিফলন খুব একটা চোখে পড়ে না। বরং নারীশিক্ষা প্রসারে অনেকেই আপত্তি তোলে।
প্রিয় সুধীবৃন্দ
অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে উল্লেখ করতে হয় যে, মাত্র কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশসহ কয়েকটি দেশের ফতোয়াবাজরা ধর্মের নামে নারীশিক্ষার সমস্ত পথকে বন্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। এর জ্বলন্ত প্রমাণের জন্য খুব বেশি দূরে যেতে হবে না, পাকিস্তানের কিশোরী মালালাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে গুলি করা হয়েছিল। তারপরও নারীরা এগিয়ে চলছে বাধার বিন্ধ্যাচল অতিক্রম করে।
প্রিয় সুখী
নারী আর পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসে সমস্ত অগ্রগতি বা সমৃদ্ধির চাকা আবর্তিত হয়। এ কথার গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রখ্যাত যোদ্ধা নেপোলিয়ান বলেছিলেন- ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি দেব।’
সম্মানিত সুধীমণ্ডলী
আমরা যদি প্রকৃতপক্ষে নারী শিক্ষা প্রসারে কাজ করতে পারি; তাহলেই আমাদের ধন-ধান্য-পুষ্পে ভরা বাংলাদেশ সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
আরও দেখুন : ৭ই মার্চ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও ভাষণ
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ভাষণ
আপনি কি আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ভাষণ খুঁজছেন? তাহলে এখন সঠিক স্থানে অবস্থান করছেন কেননা এখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নমুনা সহকারে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ভাষণ তুলে ধরা হবে। এতে করে আপনি খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় বিশ্ব নারী দিবস হিসেবে অনুষ্ঠিত যে কোন অনুষ্ঠানে নারী দিবস নিয়ে ভাষণ প্রদান করতে পারবেন। আপনার সে ভাষণে বিশ্ব নারী দিবস নিয়ে নারীদের অধিকার, নারী শিক্ষা প্রয়োজনীয়তা এবং নারীদের মূল্যবান ও সম্মান সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরতে পারেন।