
ভাগ্য নিয়ে কবিতা: ভাগ্য বা নিয়তি এমন একটি জিনিস যা আমার আপনার জন্মের ৫০ বছর আগে আসমানে লিখা হয়েছে। তাই অনেকে বলে ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন। তবে দোয়ায় একমাত্র পন্থা যার মধ্য দিয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। ভাগ্য যা কখনো আমাদের খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে আবার কখনো ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে নিয়ে যায়। সব সময় আমাদের মুমিন হিসেবে ভাগ্যের উপর বিশ্বাস রাখা উচিত ভাগে বিশ্বাস আমাদের আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখাতে সহায়তা করে। আর আল্লাহর মুমিন বান্দারা কখনো আল্লাহর কাছে থেকে মুখ ফিরিয়ে না। তাই তাঁরা ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখে কারণ ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে একজন বান্দা আর মুমিন থাকে না। এপোস্টের মাধ্যমে আমরা দেখবো ভাগ্য নিয়ে কবিতা যেখানে একে একে জায়গা পাবে ভাগ্য নিয়ে সেরা কবিতা, ভাগ্যের পরিহাস মন্দ বা খারাপ ভাগ্য সংক্রান্ত কবিতা।
Table of content...
ভাগ্য নিয়ে কবিতা
আপনি কি ভাগ্য নিয়ে কবিতা খুঁজছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতে এসেই অবস্থান করছেন। আমরা এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে প্রদান করব ভাগ্য নিয়ে কবিতা। যা কবিরা অনেকদিন আগেই রচনা করে গেছেন। এছাড়াও ভাগ্য নিয়ে রয়েছে অনেক ইসলামিক হাদিস থেকে উক্তি ও বাণী।
ভাগ্য
– মোরাদ হোসেন চৌধুরী – ছেড়াঁ ডায়েরি
ভাগ্য নিয়ে ভাবি, ভেবে ও দেখি
মাঝে মাঝে চোখের কোনে অশ্রু জমিয়ে রাখি
কখনো তার প্রতিবিম্ব আকিঁ,
মাঝে মাঝে মাথায় বেজে উঠে গোলযোগ
কড়া নাড়ে মন্দিরের ঘন্টি
মাথায় হাত দিয়ে চুলকাই, অহেতুক
বড্ড চিন্তা,
যদিও ফল শূন্য নিজেরি ব্যার্থতায়;
তবুও দোষ দেই না আমার,
দোষ দেই ভাগ্যের,
চেষ্টা চালানো হয় না, ভাগ্যের চাকা ঘুরানোতে
যতসব কৃপনতা, ভাল কাজে
সময় গড়িয়ে যায় নষ্টে কষ্টে আজে-বাজে
তবুও দোষ দেই না আমার,
দোষ দেই ভাগ্যের।
ভাগ্য নিয়ে সেরা কবিতা
আমরা অনেকেই আছি যারা ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য ভাগ্য নিয়ে সেরা কবিতা গুলো খুজে থাকি। এমন কিছু কবিতা রয়েছে যা ভাগ্য নিয়ে সেরা কাতারে রয়েছে। কারণ আমাদের বহু কবিতা রয়েছে এর মধ্যে কিছু কবিতা স্থান পেয়েছে সেরার লিস্টে। ভাগ্য নিয়ে সেরা কবিতা গুলো নিচের অংশ থেকে দেখে ও পড়ে করে নিন আপনাদের ভালো লাগবে।
ভাগ্য
– খলিলুর রহমান
এ জগতের অনেকেই ভাগ্যবান নয়।
কারো কারো ভাগ্য আবার সুপ্রসন্ন হয় –
যখন যাহা চায়, সে পায় তার অধিক
এমনটা হয় কেন, জানে না কেউ ঠিক।
কেউ কেউ পায় ঠিকই, যাহা কিছু চায়
পেয়েও দুঃখে ভাসে ভুল কিছু চাওয়ায়।
যাহা চায় তারপরও, সেটিও ঠিক কিনা
বুঝার উপায় নেই আবার পাওয়া বিনা।
কেউ কেউ পায় না তা, যাহা কিছু চায়
অথচ কল্পনাতীত অনেক কিছুই পায়।
নিজেকে তবুও সদাই ভাবে ভাগ্যহীন
অথচ তার অতি ভাগ্যেই কেটে যায় দিন।
কেউ আবার চেয়ে যায় সারাটি জীবন
হয় না তার কিছু পাওয়া অথবা অর্জন।
কেন যে এমন হয়, নেই কারো জানা
যুক্তি তবু দিয়ে যায় নানাজনে নানা।
ধার্মিক মানে, অজ্ঞাত ভাগ্য স্রষ্টার হাতে
সৌভাগ্য কমই থাকে ধার্মিকের সাথে –
কর্মশেষে যাহা পায় ভাগ্য মানে তাই।
অধার্মিক ততক্ষণ বিশ্বাসী, যতক্ষণ পায়।
ভাগ্যের পরিহাস নিয়ে কথা
যখন হঠাৎ করেই আমাদের সাথে খারাপ কিছু হয়ে যায় বা প্রত্যাশিত কিছু ঘটেনা। তখনই আমরা মনে করি এটা ভাগ্যের পরিহাস অর্থাৎ খারাপ ভাগ্যের লক্ষণ। তখন আমরা স্বাভাবিকভাবেই খুব হতাশ হয়ে পরি এবং ভাগ্যের পরিহাস নিয়ে অনেক কথা খুঁজে ও চেয়ে থাকি। আসলে সময় সবসময় একরকম যায় না ঠিক তেমনি ভাবে আপনার ভাগ্য একসময় ভালো দেখে কাজ করবে, আবার কখনও মন্দ সময় আসবে।
ভাগ্য
– Md Abir hosen
যখন লোকটা কর্মে বিশ্বাসী না
হয়ে,শুধুই ভাগ্যে বিশ্বাস করা শুরু
করে,তখন
হতাশা আর দুঃখের পাখি তার জীবনে
ডানা মেলে।যখন ব্যর্থতা আর হতাশার
পাখি
তার জীবনে এসে ভর করে,তখন সেই
ভাগ্যেবিশ্বাসী লোকটা শুধু ভাগ্যে
বিশ্বাস
করে ঘরে থাকে বসে।ভাবে
সে,বিধাতা বসে আছে তার ভাগ্যের
চাবি নিয়ে।চাইলেই
বিধাতা তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে
দিতে পারে।তাহলে সে বাকি জীবন
বেশ সুখেই
কাটাতে পারে।আরে বুঝিস না কেন
বোকা,তুই যদি নাই করিস
চেষ্টা,তাহলে কি করে
বিধাতা ঘুরিয়ে দিবে তোর ভাগ্যের
চাকা?তুই কি বুঝিস না কর্ম ছাড়া
বিধাতা
কখনোই ঘুরায় না ভাগ্যের চাকা।তবুও
লোকটা বুঝতে চাইনা সেই কথা,কর্ম
না করে
ভাগ্য বদলের আশায় নিঃশেষ করে তার
জীবনটা।হতাশার পাখির উপর উড়তে
উড়তে,অনেক
পরে লোকটা বুঝতে পারে যে,সে
জীবনে প্রায় শেষ প্রান্তে এসেছে।
আরও দেখুন ♡ ভাগ্য নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, বাণী ও কিছু কথা
মন্দ ভাগ্য নিয়ে কবিতা
ভালো খারাপ দুটো মিলিয়ে ভাগ্যের পরিহাস। আমরা অনেকেই রয়েছি তাদের সাথে সবসময়ই খারাপ তাই ঘটে এদিকে আমরা মনে করি আমাদের ভাগ্যটা মন্দ অন্যদের চেয়ে আলাদা। এমন কঠিন সময়ে মন খারাপ করে থাকি এবং মন্দ ভাগ্য নিয়ে কবিতা খুঁজি। তেমনি ভাবে কিছু কবি তাদের সময় নিয়ে বা মন্দ ভাগ্য নিয়ে কবিতা রচনা করে গেছেন।
মন্দ ভাগ্য নিয়ে কাটাই
– শামসুর রাহমান
যখন রোদে ভোরের চুমোয় জেগে উঠি
আশেপাশের সব কিছুকেই কেমন যেন
অচিন দেশের দৃশ্য ভেবে
নিজেকে খুব খাপছাড়া আর একলা লাগে।
এলোমেলো কত কিছুই ভাবতে থাকি
এই আমি কি সত্যি কোনও বিশেষ ব্যক্তি নাকি ঘরের
আসবাবেরই অংশ কিছু? না কি বনের
প্রাণীর মতোই জীবিত এক পশু কিংবা পাখি?
ভোরের আলো একটু তেজী হলে পরেই
আমার ভেতর ক্রমান্বয়ে
ভাবনা যেন বদলে যেতে থাকে এবং বুঝতে পারি-
সত্যি আমি আদমেরই বংশ থেকে জন্মেছি ঠিক।
তবে কেন সাতসকালে এমনতরো
ভাবনা এসে দখল করে আমার মতো শাদাসিধে
মানুষটিকে? দুনিয়া খুবই হিংস্র হয়ে উঠেছে আজ;
তবু নানা পাড়ায় কিছু মধুর সুরে কোকিল ডাকে।
হায়রে আমি মন্দভাগ্য নিয়ে কাটাই
বৃক্ষহারা গলির কোণে! এই গলিতে গায়ক পাখি
কিংবা কোকিল কোনও কালেই ঝরায় না সুর,
মাঝে মাঝে ফিল্মি গানের ধাক্কা লাগে কানে জোরে!
নিয়তি নিয়ে কবিতা
ভাগ্যের আরেক নাম নিয়তি বা তাকদীর, নিয়তি বড়ই কঠিন বা বাস্তবতা অনেক কঠিন একটি বিষয়। সার্বিক অর্থে আমাদের সাথে যা কিছু ঘটে সেটি নিয়তির পরিণয়। কারণ আমরা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ লাভ করার আগেই আমাদের নিয়তি ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা সবকিছু অবগত রয়েছেন। এ অংশে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো নিয়তি নিয়ে কবিতা যা ভাল লাগলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন।