গীবত নিয়ে ইসলামিক উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, কবিতা, গল্প ও গজল
গীবত নিয়ে ইসলামিক উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, কবিতা, গল্প ও গজল

গীবত নিয়ে ইসলামিক উক্তি, স্ট্যাটাস: গীবত বা পরনিন্দা খুবই বাজে একটি কাজ, যা ইসলাম ধর্মে হারাম বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। একজন মানুষ হিসেবে আমাদের সর্বদাই গীবতের মত হারাম কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কারণ গীবতকারীর জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি। কিন্তু আমরা বর্তমান সময়ের মানুষেরা কারণে-অকারণে মানুষের গীবত করে থাকি। কোন একটি মানুষ আমাদের সামনে নেই কিন্তু তাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা বা আলোচনা করাই গীবতের মধ্যে পরে। যে আলোচনা হচ্ছে আমাদের মাঝে আমরা যখন এক থেকে দুই হয় অর্থাৎ কারো সাথে মেলামেশা করি ঠিক তখনই নানাভাবে কি গীবতের মধ্যে জড়িয়ে থাকি।
এবং আমরা যে গীবত করতেছি এটা বুঝতে পারিনা বরং হাসি ও মজার ছলে দিব্যি দিনের-পর-দিন গীবত করে যাচ্ছি যা অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি পাপ। তাই সময় থাকতে আমাদের বুঝতে হবে কোনটি গীবত এবং তা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে হবে। তাই আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি গীবতের অপকার নিয়ে। যেখানে পাবেন গীবত নিয়ে ইসলামিক উক্তি, বাণী। গীবত নিয়ে কুরআনের আয়াত এবং একইসাথে গীবত নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা।
Table of content...
গীবত নিয়ে ইসলামিক উক্তি, বাণী
ইসলাম ধর্মে গীবত অত্যন্ত বাজে একটি পাপ যা মানুষের পরনিন্দা-পরচর্চা ব্যবহৃত হয়। পরনিন্দা পরচর্চা করাই হচ্ছে গীবত যার অন্য নাম এটি। ইসলাম ধর্মে গীবত কারীর শাস্তি বা অপকার নিয়ে বলা হয়েছে। আমাদের মাঝে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা জেনে বুঝে প্রতিনিয়ত গীবত করে। তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা গীবত থেকে সরে আসুন। কারণে গীবত নিয়ে ইসলামিক উক্তি ও বাণী জেনে রাখুন যাতে কে আপনি শিক্ষা লাভ করতে পারবেন।
‘যারা অগ্র-পশ্চাতে অন্যের দোষ বলে বেড়ায়, তাদের জন্য রয়েছে ধ্বংসের দুঃসংবাদ।’ (মুসলিম)
তিনি বলেন, ‘তোমার কোনো ভাই সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তা-ই গিবত।’ – রাসুল (সা.)
‘তুমি যে দোষের কথা বলো, তা যদি তোমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তবে তুমি অবশ্যই গিবত করলে আর তুমি যা বলছ, তা যদি তার মধ্যে না থাকে, তবে তুমি তার ওপর তুহমত ও বুহতান তথা মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছ।’ (মুসলিম)।
মদ্যপান, চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক ও নিকৃষ্টতম পাপ ও কবিরা গুনাহ হলো গিবত। অন্যান্য পাপ তওবা দ্বারা মাফ হয়; গিবতকারীর পাপ শুধু তওবা দ্বারা মাফ হয় না, যার গিবত করা হয়েছে সে ব্যক্তি যদি মাফ করে, তবেই আল্লাহর কাছে মাফ পাওয়া যেতে পারে
মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
গীবত নিয়ে কুরআনের আয়াত
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল-কুরআনে সূরা নাযিল এর মধ্য দিয়ে গীবতের কুফল বর্ণনা করেছেন। যাতে করে গীবতের মতো ভয়ানক পাপ থেকে মানুষ দূরে সরে থাকতে পারে। তাই কুরআনে গীবত নিয়ে অনেক আলোচনায় অনেক শাস্তির কথা বলা রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক গীবত নিয়ে কিছু কোরআনের আয়াত গুলো।
‘আর তোমরা অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াবে না।’ (সুরা-৪৯ হুজুরাত, আয়াত: ১২)। ‘দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে।…অবশ্যই তারা হুতামাতে (জাহান্নামে) নিক্ষিপ্ত হবে। তুমি কি জানো হুতামা কী? তা আল্লাহর প্রজ্বলিত অগ্নি, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে। নিশ্চয় বেষ্টন করে রাখবে, দীর্ঘায়িত স্তম্ভসমূহে।’(সুরা-১০৪ হুমাজা, আয়াত: ১-৯)।
গীবত নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
আমরা ইতোমধ্যেই উপরের অংশে জেনেছি গীবত এর কুফল সম্পর্কে। তাই গীবতের কুফল যদি আপনি আপনার পাশের মানুষদের বা অন্য সকল মানুষদের জানাতে চান। তাহলে বর্তমান প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা সোশ্যাল মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সেখানে স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করে তার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে পারেন। এতে করে অনেক মানুষই গীবত থেকে বিরত থাকতে পারে।
আরও দেখুন ♡ বদনাম নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, কবিতা ও কিছু কথা
গীবত নিয়ে কবিতা
কবিতার কাব্যময় ভাষা দিয়ে অনেক কথা প্রকাশ করা যায় উল্লেখ করা যায় মানুষের মাঝে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি কবিতার কাব্যময় কথা দ্বারা গীবত নিয়ে কিছু কবিতা প্রকাশ করতে পারেন। যেখানে প্রধানত স্থান পাবে গীবত। মানুষ কেন গীবত করবেনা, গীবত করার কুফল এবং গীবত থেকে দূরে থাকার কৌশল গুলো কবিতার মাধ্যমে আপনি বর্ণনা করতে পারবেন।
গীবত নিয়ে গজল, ওয়াজ, আলোচনা
বর্তমানে মানুষকে গীবত সম্পর্কে অবগত করতে এবং দূরে রাখতে গীবত নিয়ে নানা গজল, ওয়াজ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যাতে করে মানুষ এসকল আলোচনার প্রেক্ষিতে গীবত থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত গীবত থেকে বাঁচতে গজল ওয়াজ ও আলোচনা শুনতে হবে। যাতে করে আমাদের মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং তাদেরকে আমরা সর্বদাই নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পারি এই পাপ কাজ থেকে।